বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে তাদের জামিন না মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিমের আদালতে এই জামিনের আবেদন করেন আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবাহ। আবেদনের ওপর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আদা
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) এ মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন।
মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন আবেদন করেন। তাকে সহযোগিতা করেন জাকির হোসেন জুয়েল, শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন। এ ছাড়া মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন আবেদন করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস ছালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক এমপি মো. ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিব।
গত ৮ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ৯ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।
এর আগে, ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। এ ছাড়া অনেকে আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।